বাংলা ফ্লো স্পোর্টস
ঢাকা: রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিম ইকবালের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার আপডেট জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তালুকদার।
তিনি বলেন, হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। এই বয়সে দুর্দান্ত একটা প্লেয়ার, একটা বিশ্বমানের প্লেয়ার, আমাদের গৌরব, এই ছেলেটার হার্ট অ্যাটাক হবে- সে এইটা কেমনে মানবে?
তামিমের শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে ধূমপান করার অনুমতি না দেওয়ার কথাও জানান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তালুকদার।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এভার কেয়ারের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তালুকদার।
এ সময় কবে তামিম মাঠে ফিরতে পারবেন, কবে বাসায় যেতে পারবেন — সবকিছুর উত্তর দেন এভার কেয়ারের চিকিৎসকরা।
এ সময় জানানো হয়, এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদারের চিকিৎসাধীন আছেন তামিম। এর বাইরে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। তারা তামিমকে খুঁটিয়ে দেখছেন। তার নিজের এবং পরিবারের ইতিহাসও জানছেন।
তামিমের মানসিক পরিস্থিতির অবস্থা জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, , ‘তামিমের যেটা হলো ও এটাকে নিতে পারছে না। সাইকোলজিক্যালি (মানসিকভাবে) এটাকে মেনে নিতে পারছে না, যে এটা হবে সে কল্পনা করেনি। কিন্তু এটার কিন্তু অনেক ইতিহাস আছে। অনেক খেলোয়াড় খেলার সময় মাঠে মারা গেছে, অজ্ঞান হয়ে গেছে- এমন অনেক ইতিহাস আছে।‘
তামিমের মানসিক অবস্থার জন্য কী করতে হবে তা জানিয়ে চিকিৎসক বলেন, ‘মানসিক অবস্থার জন্য আমরা কাউন্সিলর ইনভলব করেছি। এটাকে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, তার প্রশ্ন শুনবে, প্যানিক শুনবে তারপর গাইড করবে।’
হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টা মেনে নিতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করে এই চিকিৎসক বলেন, ‘এই বয়সে দুর্দান্ত একটা প্লেয়ার, একটা বিশ্বমানের প্লেয়ার, আমাদের গৌরব, এই ছেলেটার হার্ট অ্যাটাক হবে- সে এইটা কেমনে মানবে। মানাটা কঠিন, মাত্র ৩৬ বছর বয়স। কিন্তু এটাকে মেনে নিতে হবে। সেজন্য আমরা কাউন্সেলিং করছি। রিহ্যাব করব আমরা। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।’
চিকিৎসক আরও যোগ করেন, স্মোকিংটা ও হঠাৎ করে ছাড়তে পারছে না। প্রথমে তো ও বলছিল ছাড়তেই পারবে না। পরে বলল, “আস্তে আস্তে ভেপ (ই-সিগারেট) নিতে পারব?”, আমি বলছি না, “ভেপ নিতে পারবে না এটাতে ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।” তারপরে আজকে সকালে সে বুঝল, তারপর আমি বললাম ঠিক আছে নিকোটিন প্যাঁচ বা গাম … ও এটা মেনে নিয়েছে। এবং সে সিগারেট খেতে চাচ্ছে কিন্তু আমরা অনুমতি দিচ্ছি না। কারণ সিগারেট খাইলে সে সমস্যাটা হয়েছিল- বিটিপি সেটা আবার হতে পারে।
এ সময় এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমান বলেন, ‘এবার তামিমকে ধূমপান বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। স্যারের (প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদারের) তত্ত্বাবধানে চলতে হবে। তার পরামর্শ মেনে চলতে হবে।’
তামিম ইকবালের বাসায় ফেরার বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান, তামিম এখন মোটামুটি স্থিতিশীল। হয়তো কয়েকদিন পর বাসায় যেতে পারবেন।
তামিম ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কি? যদি পারেন, তাহলে কত দিন পর?
এ প্রশ্নের জবাবে এভারকেয়ারের মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমান এবং প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার জানান, তিন থেকে চার মাস পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলা যাবে।
বাংলাফ্লো/এসবি
Comments 0