স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না এক সময়কার প্রতাপশালী দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। তবে চলতি মৌসুমে ইউরোপের যে কোনো স্তরের টূর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত এক মাত্র অপরাজিত দল রেড ডেভিলসরা।
আর ইউরোপা লীগে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে তাদেরই ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হারিয়ে ফাইনালে এক পা বাড়িয়ে রেখেছে রুবেন আমোরিমের শিষ্যরা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের সান মেমেস স্টেডিয়ামে ছিল এক উত্তেজিত পরিবেশ। ঘরের মাঠে নিজ দলকে সমর্থকদের সঙ্গে ছিল এওয়ে টিম হিসেবে খেলা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্তরাও।
খেলার প্রথমার্ধের তিনটি গোল ম্যান ইউনাইটেডকে বৃহস্পতিবার ইউরোপা লীগ ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ৩-০ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের জয় এই স্টেডিয়ামেই ফাইনালে খেলার পথে এক ধাপ এগিয়ে রেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।
এ দিন খেলার শুরুতেই বিলবাও খেলোয়াড়রা শুরুতেই ঘরের মাঠের দর্শকদের শক্তি কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক সুযোগ তৈরি করে যাচ্ছিল।
ইনাকি উইলিয়ামসের ক্লোজ রেঞ্জ থেকে করা হেড বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। আরেকবার ভিক্টর লিন্ডেলফ লাইনে সময়মতো ব্লক করে ইউনাইটেডকে উদ্ধার করেন পিছিয়ে পড়ার থেকে।
কিন্তু তার একটু পরেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো ৩০ মিনিটের মধ্যেই ব্যাক পোস্টে এসে দর্শকদের এগিয়ে দেন।
ঘরোয়া মৌসুমে খারাপ সময় কাটানো ইউনাইটেড ভক্তদের পাঁচ মিনিট পরে আরও একবার উল্লাসের সুযোগ করে দেয় হয়লুন্ড।
অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ডি বক্সে দলটির ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল ভিভিয়ানকে হয়লুন্ডের জার্সি টেনে ধরে লাল কার্ড দেন রেফারি আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পায় পেনাল্টি।
ব্রুনো ফার্নান্দেস স্পট কিককে গোলে রূপান্তরিত করেন।
দুই গোলে এগিয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকরা কিছুক্ষণ পরে আবারও উল্লাসে মেতে উঠে। প্রথমার্ধ শেষের একটু আগে অধিনায়ক ফার্নান্দেস আবারও গোল করে ৩-০ ব্যবধান করে ফেলেন।
সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয় নি অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ক্যাসেমিরো দলের চতুর্থ গোলটিও যোগ করতে পারতেন, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ম্যাচশেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম গোলের ক্যাসিমেরোকে অ্যাসিস্ট করা হ্যারি ম্যাগুয়ের বলেন, অবশ্যই এটি একটি দুর্দান্ত শুরু। এখানে জয়লাভ করা আর তার পাশাপাশি দলের তিনটি গোল করা এবং ক্লিন শিট রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
পরের লেগ বিষয়ে তিনি বলেন, সমস্ত চাপ আমাদের উপর থাকবে, সবাই আশা করবে আমরা পার হবো। আমাদের সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, এবং যদি আমরা তা করি তাহলে আমরা নিজেদেরকে একটি দুর্দান্ত সুযোগ দেব।
তবে ম্যাচ জিতলেও কোচ রুবেন আমোরিম অবশ্য ভাবছেন সতর্কভাবে। আর তাই বলছেন, ফাইনালে থেকে আমরা এক পা দূরে, কিন্তু এটি এখনও শেষ হয়নি।
প্রসঙ্গত, ইউরোপা লীগ জয় এই মৌসুমে ইউনাইটেডের জন্য লীগের ব্যর্থতা ঢাকার পাশাপাশি পরবর্তী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলার একমাত্র আশা।
রুবেন আমোরিম কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তারা ইউরোপা লিগে প্রিমিয়ার লিগের চেয়েও বেশি ম্যাচ জিতেছে।
প্রসঙ্গত, ২১শে মে অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের এই স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে ইউরোপা লীগের ফাইনাল।
বাংলাফ্লো/এসবি
Comments 0