আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কড়াকড়ি আরও তীব্র হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির বৈধ অভিবাসীদেরও চাপের মুখে ফেলে দিয়েছেন তিনি। ‘গ্রিনকার্ড’ থাকলেই যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপদে থাকা যাবে—এমন ধারণা এখন আর নিরাপদ নয়।
গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। তবে এবার লক্ষ্যবস্তুতে এসেছে বৈধ অভিবাসীরাও। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা বিভাগ (ইউএসসিআইএস) চলতি সপ্তাহে এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, গ্রিনকার্ডধারীরা যদি দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে ওঠেন, তবে তাদের বৈধ অভিবাসন স্ট্যাটাস বাতিল করা হতে পারে।
মাইক্রোব্লগিং সাইট 'এক্স'–এ প্রকাশিত ওই বার্তায় আরও বলা হয়, বৈধ অভিবাসীদের অতিথির মতো আচরণ করতে হবে। তা না হলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন বার্তার পর বৈধ অভিবাসীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এখন অনলাইনে অভিবাসীদের কার্যক্রম, মতাদর্শ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত মতামত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যেই অনেক গ্রিনকার্ডধারীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে বা নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নীতিমালা যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত বৈধ অভিবাসীদের বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশ ও নিরাপত্তার অধিকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
এই সতর্কবার্তা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়, ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন আইনের প্রয়োগ আরও বিস্তৃত করতে চায়। শুধু অবৈধ নয়, বরং বৈধ অভিবাসীরাও এখন নজরদারির আওতায়।
এ নিয়ে অভিবাসন বিষয়ক অধিকারকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অনেক অভিবাসী বর্তমানে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
বাংলাফ্লো/এসকে
Comments 0