Logo

নিজের মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর করতে বন্দির আবেদন

null

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিজের মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের এক বন্দি। অ্যারন ব্রায়ান গাঞ্চেস নামের এ বন্দি রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতকে আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে তার মৃত্যুদণ্ড ত্বরান্বিত করার আবেদন করেছেন। তিনি আগের মতো এবারও তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। গাঞ্চেসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে অ্যারিজোনায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া দুই বছরের বিরতির পর আবার শুরু হবে। চলতি সপ্তাহে হাতে লেখা একটি আদালতের আবেদনপত্রে গাঞ্চেস রাজ্য সুপ্রিম কোর্টকে তার মৃত্যুদণ্ড ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে কার্যকরের জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করতে বলেন। তিনি ২০০২ সালে টেড প্রাইস হত্যাকাণ্ডে দোষি সাব্যস্ত হয়েছিলেন। গাঞ্চেস কোনো আইনজীবী নেননি, নিজেই নিজেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি আদালতে বলেছেন, তার মৃত্যুদণ্ড ‌অনেক আগেই কার্যকর হওয়া উচিত ছিল। রাজ্য এটি কার্যকর করার আইনি প্রক্রিয়ায় দেরি করছে। অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিস মায়েসের অফিস বলেছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা পূরণে সময়সূচি প্রয়োজন। যেমন লিথাল ইনজেকশনে ব্যবহৃত পেন্টোবারবিটাল ওষুধ পরীক্ষা করার দরকার। দুই বছর আগে গাঞ্চেস অ্যারিজোনা সুপ্রিম কোর্টকে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুরোধ করেছিলেন, যাতে তার বিচার সম্পন্ন হয় এবং ভুক্তভোগীর পরিবারে স্বস্তি আসে।গাঞ্চেসের মৃত্যুদণ্ড ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে গভর্নর কেটি হবসের অফিস জানিয়েছিল, রাজ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী প্রস্তুত করতে পারেনি। গভর্নর হবস যিনি একজন ডেমোক্র্যাট, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রাজ্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া আইন লঙ্ঘন ছাড়াই পরিচালিত হবে বলে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবেন না। তার নির্দেশে পরিচালিত পর্যালোচনা কার্যত শেষ হয়েছিল নভেম্বর মাসে, যখন তিনি এই পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত ফেডারেল বিচারককে বরখাস্ত করেন। গাঞ্চেস দোষ স্বীকার করে বলেছিলেন, তিনি তার বান্ধবীর সাবেক স্বামী প্রাইসকে মেসার কাছের একটি এলাকায় গুলি করে হত্যা করেছিলেন। অ্যারিজোনায় বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১১১ জন বন্দী রয়েছেন। ২০২২ সালে রাজ্যে তিনটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল যা প্রায় আট বছর বিরতির পর আবার শুরু হয়। এই বিরতির কারণ ছিল ২০১৪ সালে একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়া এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে জটিলতা। এরপর থেকে রাজ্য সমালোচিত হয়েছে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য ইনজেকশন প্রয়োগের প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত সময় নেওয়ার কারণে। জেবি