Logo

বাংলাদেশ ছাড়াই সেভেন সিস্টার্সকে সংযোগের নতুন প্রকল্প ভারতের

মেঘালয়ের শিলং থেকে আসামের শিলচর পর্যন্ত নতুন মহাসড়ক প্রস্তাব করেছে ভারত সরকার। এই মহাসড়ক হবে মিয়ানমারের মাল্টি-মডাল পরিবহন প্রকল্পের সম্প্রসারণ। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য (সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত) ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মধ্যে সমুদ্রপথে একটি বিকল্প সংযোগ তৈরি হবে।

ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সৌজন্যে

বাংলাফ্লো ডেস্ক

ঢাকা: কলকাতা বন্দর থেকে মিয়ানমার হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সেভেস সিস্টার্স) সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সড়ক পথ বেছে নিয়েছে ভারত। সেভেন সিস্টার্সকে সংযুক্ত করার নতুন এই পরিকল্পনায় অবশ্য থাকছে না বাংলাদেশের কোনো রুট।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এমন তথ্য জানিয়েছে।

গণমাধ্যমটি বলছে, মেঘালয়ের শিলং থেকে আসামের শিলচর পর্যন্ত নতুন মহাসড়ক প্রস্তাব করেছে ভারত সরকার। এই মহাসড়ক হবে মিয়ানমারের মাল্টি-মডাল পরিবহন প্রকল্পের সম্প্রসারণ। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য (সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত) ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মধ্যে সমুদ্রপথে একটি বিকল্প সংযোগ তৈরি হবে।

ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের (এনএইচআইডিসিএল) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি হবে বাংলাদেশের জন্য একটি ‘জবাব’।

উল্লেখ্য, গত মার্চে বেইজিং সফরকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারত ‘ভূবেষ্টিত।’ এই অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশই সমুদ্রের (প্রবেশের) অভিভাবক।’

ড. ইউনূসের ওই মন্তব্যের জবাব দিতেই ভারত সমুদ্রপথে বিকল্প সংযোগ পথ তৈরির পরিকল্পনা করছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, মিয়ানমারে কালাদান মাল্টি-মডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে হচ্ছে। এটি কলকাতা সমুদ্রবন্দরকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিত্তে বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এই সিত্তে বন্দর কালাদান নদীর মাধ্যমে মিয়ানমারের পালেতওয়া এবং সেখান থেকে সড়কপথে মিজোরামের জোরিনপুইয়ের সঙ্গে যুক্ত।

এনএইচআইডিসিএল-এর কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এনএইচআইডিসিএল এই প্রকল্পটি জোরিনপুই থেকে মিজোরামের লংলাই হয়ে আইজল পর্যন্ত নিয়ে যাবে। এটি সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য একটি প্রধান সংযোগকারী পথ হয়ে উঠবে এবং ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির জন্য এই অঞ্চলকে প্রবেশদ্বার হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘কালাদান প্রকল্পের সহায়তায় পণ্যসামগ্রী বাংলাদেশের ওপর নির্ভর না করে (ওডিশার) বিশাখাপত্তনম এবং (পশ্চিমবঙ্গের) কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে পৌঁছাবে।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বাংলাফ্লো/এসবি

Leave a Comment

Comments 0