স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: ৪৩ বছর পর এশিয়া কাপ হকিতে খেলতে পারছে না বাংলাদেশ। দেশের হকির এই বড় ব্যর্থতায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটি আজ হকি সংশ্লিষ্ট চার জনের সাক্ষ্য নিয়েছে।

বাংলাদেশ বরাবরবই এএইচএফ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার সেমিফাইনালে ওমানের বিপক্ষে হেরে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। এরপরই শুরু হয় হকি অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা। দল নির্বাচন, প্রস্তুতির অভাবসহ নানা বিষয় উঠে আসে ব্যর্থতা প্রসঙ্গে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ হকির এই ব্যর্থতা উদঘাটনের জন্য গতকাল তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।

কমিটি গঠনের পর দিনই কমিটি আজ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে.কর্ণেল (অব) রিয়াজুর রহমান, এএইচএফ কাপে বাংলাদেশ দলের কোচ মামুনুর রশীদ, সাবেক জাতীয় খেলোয়াড় ও ফেডারেশনের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স এবং রাসেল মাহমুদ জিমির সঙ্গে কথা বলেছে। চার জনই নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্ব স্ব ব্যাখ্যা ও তথ্য উপস্থাপন করেছেন।

রাসেল মাহমুদ জিমি দেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন। এএইচএফ কাপের জন্য প্রাথমিক স্কোয়াডে ফেডারেশন জিমিকে ফিটনেস টেস্টের জন্যই ডাকেনি। জিমির মতো খেলোয়াড়কে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই বাদ দেয়ার সমালোচনা করেছিলেন হকি অঙ্গনের অনেকে। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল খেলতে ব্যর্থ হওয়ায় আবার জিমির বাদ দেয়ার প্রসঙ্গ এসেছে ঘুরেফিরে। তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কমিটিও জিমিকে ডেকেছিল বিভিন্ন বিষয় জানতে। কমিটির কাছে স্বাক্ষ্য প্রদানের পর গণমাধ্যমে জিমি বলেন, 'বয়সের কারণ দেখিয়ে যেভাবে আমাকে বাদ দেয়া হয়েছে সেই বিষয়টি আমি তুলে ধরেছি। আমি চাই দেশের হকি বাচুক। হকি বাচাতে ব্যক্তি/দলের স্বার্থে উর্ধ্বে উঠতে হবে সবাইকে।'

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ব্যর্থতা অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক পরিচালক ক্রীড়া মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর। তাদের কর্ম পরিধি নিয়ে বলেন, 'আমাদের কমিটি আজ হকি সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনে আরো কারো সাথে বলা হতে পারে। বিদেশ থেকে দল ফেরত আসলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে একটি রিপোর্ট দেয় ফেডারেশন থেকে। সেই রিপোর্ট এখনো আসেনি। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা সেটাও পর্যালোচনা করব।'

বাংলাফ্লো/এসও