আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীল দল পিপল পাওয়ার পার্টি আগামী ৩ জুন অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য কিম মুন-সুকে তাদের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। সাবেক শ্রমমন্ত্রী কিম গোইয়াং-এ অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা পান।

৭৩ বছর বয়সী কিম মুন-সু তার ছাত্রজীবনে একজন শ্রমিক অধিকারকর্মী ছিলেন। সে সময় তিনি আন্দোলনের কারণে গ্রেফতার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন। তবে পরে তিনি কট্টর রক্ষণশীল রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের শাসনামলে শ্রমমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কিম মুন-সু মনোনয়ন গ্রহণ করে দেওয়া ভাষণে বলেন, “আমি কখনও সমাজের সবচেয়ে দুর্বল মানুষের পাশে দাঁড়াতে পিছপা হইনি।” তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচিত হলে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা গ্রহণ, উদ্ভাবন ও বিজ্ঞান খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তরুণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানমূলক উদ্যোগ নেবেন। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার প্রতি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার কথাও বলেন তিনি।

এই নির্বাচন আয়োজনের পেছনে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল অযৌক্তিকভাবে মার্শাল ল জারি করলে তা নিয়ে দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিষয়টি আদালতে গড়ালে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে এপ্রিল মাসে ইউনকে পদচ্যুত করে কোরিয়ান সাংবিধানিক আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ জুন নতুন নির্বাচনের ঘোষণা আসে।

কিন্তু জনমত জরিপে কিম অনেকটাই পিছিয়ে আছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ং প্রায় ৫০ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন, যেখানে কিমের সমর্থন মাত্র ১৩ শতাংশ। তবে এই সপ্তাহে একটি আদালতের রায় লিকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, যা নির্বাচনী সমীকরণে পরিবর্তন আনতে পারে।

এদিকে, ইউনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও তিনি পিপল পাওয়ার পার্টির সদস্য নন, তবে সম্ভাব্য জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে।

নির্বাচনের বাকি সময় জুড়ে জনমত পরিবর্তন হতে পারে কিনা, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

সূত্র: রয়টার্স

বাংলাফ্লো/আফি