আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ঢাকা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও উত্তর কোরিয়ার নেতারা। তবে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়তে দেশ ৩টি একত্র হবে না বলেও মনে করেন তারা। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী গতকাল শুক্রবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করেছে রাশিয়া। বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতিতে মস্কোর রেড স্কয়ারজুড়ে কুচকাওয়াজ করে রুশ সেনারা। 

রাশিয়ার সামরিক মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিসহ ২০ দেশের নেতারা। 

 বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত বিশ্বব্যবস্থায় রাশিয়া-চীন জোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে, সেই রাজনৈতিক বার্তা দিতেই রাশিয়ার সামরিক শক্তির প্রদর্শন। চীন ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মস্কো সংঘাতকে এশিয়ার দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও মত তাদের।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ স্কলার এলিজাবেথ উইশনিক বলেন, আমি মনে করি উত্তর কোরিয়া এবং চীনের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাশিয়া তাদেরকে সাথে নিয়ে সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। এই সংঘাতকে তারা এশিয়ার দিকে নিতে চায়, যাতে করে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

তবে রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার নেতারা আপাতত একসাথে হলেও, নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরিতে তারা একত্র হবে বলে মনে করেন না এই বিশ্লেষক। 

এলিজাবেথ উইশনিক বলেন, আমি মনে করি না তারা একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরির জন্য একত্রিত হবে। তারা অবশ্যই অনেক অনিশ্চয়তা এবং অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি না তারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো জোট করতে পারবে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র ও সেনা সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ পশ্চিমা বিশ্বের। তবে মস্কোকে শুধু অর্থনৈতিক সহযোগিতার দাবি বেইজিংয়ের। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সেনা ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে উত্তর কোরিয়াও। 

সূত্র: বিবিসি

বাংলাফ্লো/এসএস