Logo

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা

গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চার জেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করেছে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি 

ঢাকা: গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চার জেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করেছে সরকার। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ঘর তৈরির কাজ বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দেশের চার জেলায় এসব ঘর হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসকরা। জেলায় জেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম; এই চার জেলায় ২০২৪ সালের আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় এসব এলাকার যেসব বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বসবাসের মতো ঘর অবশিষ্ট নেই, তাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর মাধ্যমে চার জেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এই ঘর নির্মাণে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৩০০টি ঘর নির্মাণে প্রায় ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। 

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজউদ্দিন মিয়া জানান, বুয়েটের থেকে পরামর্শ নিয়ে বিশেষ ডিজাইনে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এসব ডিজাইন অনুমোদন দিয়েছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে আমরা চারটি জেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিই। জায়গার পরিমাণের উপর নির্ভর করে দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনে এসব ঘর করা হয়েছে। এই জায়গাগুলো নির্ধারণে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে চার জেলায় কমিটি ছিল। সেই নির্বাচিত জায়গাগুলোতে এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ২৪ এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশন এই নির্মাণ কাজ করেছে। তারা খুব অল্প সময়ে এবং খুব ভালোভাবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যেই টাকা দিয়েছিলাম, তার অর্ধেক টাকা খরচ হয়েছে। এটা বলতে গেলে উল্টো খবর। সাধারণত বরাদ্দের দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ আবার চাওয়া হয়। এই অর্ধেক টাকাতে ৩০০ ঘর তৈরি হয়েছে। এটাও একটা আনন্দের খবর। সেনাবাহিনীর যারা কাজে নিয়োজিত ছিলেন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই কাজ ছিল না, অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই গৃহ নির্মাণ কাজ ছিল। ঘর নির্মাণে অনেক জিনিসপত্র একত্রিত করতে হয়। এটা কঠিন ছিল, রাস্তা ঘাট বন্ধ ছিল। এর মধ্যেই কাজটি করতে হয়েছে। সুন্দর বাড়ি হয়েছে। আমরা সবার পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা সেনাবাহিনী এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। 

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, ত্রাণ ও দুর্যোগ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাফ্লো/এসকে

Related Posts বাংলাদেশ

Leave a Comment

Comments 0