স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: বিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টিকিট বিক্রির রাজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড। ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়া সবশেষ আসরের টিকিট বিক্রি থেকে লভ্যাংশ ভাগের উদ্যোগ নিয়েছিল বিসিবি।
তবে টিকিট বিক্রির লাভের ভাগ পেতে হলে পূরণ করতে হবে একটি শর্ত। যেসব দল খেলোয়াড়দের প্রাপ্য পরিশোধ করবে, কেবল তারাই এই অর্থ পাবে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিসিবি।
সম্প্রতি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। পরে এক বিবৃতিতে বিসিবি জানায়, ‘যেসব ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চুক্তির শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দায়বদ্ধ।’
টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া সাতটি দলের মধ্যে একমাত্র চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ও রানার্সআপ রংপুর রাইডার্স ছাড়া বাকি পাঁচটি দলের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের অর্থ বকেয়া রাখার অভিযোগ রয়েছে। দেশি ও বিদেশি—দুই ধরনের খেলোয়াড়ই, বিশেষ করে প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে নির্বাচিতরা, এখনও তাদের পাওনা বুঝে পাননি বলে জানা গেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে বিসিবি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টিকিট বিক্রির অংশীদার হতে চাইলে প্রথমে খেলোয়াড়দের থেকে প্রাপ্য অর্থ পাওয়ার লিখিত স্বীকৃতি জমা দিতে হবে।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্লে-অফে খেলা চারটি দল পাবে ৫৫ লাখ টাকা করে। বাকি তিনটি দল পাবে ৪৫ লাখ টাকা করে। তবে কে কত টাকা পাবে, তা নির্ভর করবে খেলোয়াড়দের প্রাপ্য অর্থ কতটুকু পরিশোধ করেছে, তার ওপর। অর্থাৎ, কোনো দল যদি ৮০ শতাংশ বকেয়া পরিশোধ করে, তবে তারা পাবে নির্ধারিত টাকার ৮০ শতাংশ।
চলমান পরিস্থিতিতে বোর্ডের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিরা। বিসিবি জানিয়েছে, ঈদুল আজহার আগেই অর্থ বণ্টনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় তারা। তবে যেসব দল এখনও খেলোয়াড়দের পাওনা মেটায়নি, তারা কোনো অর্থই পাবে না।
বিপিএলে বহুদিন ধরেই খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ না করার প্রবণতা থাকলেও এতটা কঠোর অবস্থান এবারই প্রথম নিচ্ছে বিসিবি। খেলোয়াড়দের কল্যাণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সুবিধা জড়িয়ে দিয়ে এবং আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়ে বোর্ড যেন সাফ জানিয়ে দিল—আর কোনো ছাড় নয়।
বাংলাফ্লো/এসও
Comments 0