স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: বিরাট কোহলিকে অনুরোধ করা হয়েছিল, শোনেননি। হুট করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়ে দেন—সাদা পোশাকের ক্রিকেট আর খেলবেন না। বিদায় বলার পরও আলোচনা থেমে নেই। প্রশ্নও উঠছে অনেক। তারমাঝেই কোহলির গুরু রবি শাস্ত্রী ঢেলেছেন ঘি। ভারতের সাবেক তারকা বলেছেন, ‘ক্ষমতা থাকলে কোহলিকে তিনি টেস্ট অধিনায়ক বানিয়ে দিতেন।
টেস্টকে কোহলি বিদায় বলেছেন তাও অনেকদিন। এখনও সেটি মানতে পারছেন না কোহলিদের সাবেক কোচ শাস্ত্রী। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার, ‘কেউ যখন চলে যায় তখন সকলে তার গুরুত্ব বুঝতে পারে। কোহলির অবসর আমি মানতে পারছি না।’
যদি আমার হাতে ক্ষমতা থাকত তা হলে অস্ট্রেলিয়া সফরের পরেই কোহলিকে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক করে দিতাম। তা হলে আরও কয়েক বছর খেলত।
শত সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকা কোহলিকে খুব প্রয়োজন ছিল ভারতের। রানও করছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার। কিন্তু হুট করেই জানিয়ে দেন সিদ্ধান্ত। ভারতের গণমাধ্যম জানিয়েছে, মূলত বোর্ডের চাপ, পরিবার নীতি এবং কোচ গৌতম গম্ভীরের কারণেই তিনি টেস্ট ছেড়েছেন। শাস্ত্রীর মতে, বিসিসিআইও বিষয়টি এতটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি।
এরপরই সাবেক কোচ বলেছেন ক্ষমতার কথা, ‘আমার মনে হয়, বিষয়টা অন্যভাবে সামলানো যেত। কোহলির সঙ্গে বোর্ড আরও কথা বলতে পারত। যদি আমার হাতে ক্ষমতা থাকত তা হলে অস্ট্রেলিয়া সফরের পরেই কোহলিকে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক করে দিতাম। তা হলে আরও কয়েক বছর খেলত।’
যদিও ভারতের বোর্ডের পক্ষ থেকে আলোচনা করা হয়েছিল, কিন্তু কোহলি ছিলেন নাছোড়বান্দা। ঠিক কি কারণে তার এমন সিদ্ধান্তে আসা, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ভারতের একাধিক মিডিয়া এর পেছনে নেতৃত্ব নিয়ে ঝামেলা সামনে এনেছেন। তাদের দাবি, কোহলি নেতৃত্ব চেয়েছিলেন। কিন্তু বোর্ড তথা কোচ গম্ভীর চেয়েছিলেন নতুন কাউকে। এমনকি কোহলিকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, ‘হয় ভালো খেলো, নয় ছেড়ে দেও!’ সেটিই হতে পারে অবসরের সিদ্ধান্তে প্রভাবক।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0