স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা নিজেই জানান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ওয়ানডে ও টেস্ট চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। আগামী এক বছরের জন্য টেস্টের নেতৃত্ব তার কাছেও আছে। তবে তাকে না জানিয়েই নাকি ওয়ানডের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ভার মেহেদী হাসান মিরাজকে দেওয়া হয়েছে।

বিসিবির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। মিরাজকে অভিনন্দন জানালেও অধিনায়কত্ব যাওয়ার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি শান্ত। নীরব থেকেছেন তিনি। তার নীরবতা ভাঙার চেষ্টা আজ সংবাদ সম্মেলনে করা হয়েছিল।

তবে এ বিষয়ে মৌনই থাকতে চান টেস্টের অধিনায়ক।

ওয়ানডের অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলতে চান না শান্ত। টেস্ট নিয়ে কথা বলাটা যৌক্তিক মনে করে ২৬ বছর বয়সী ব্যাটার বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, ওয়ানডের এই (অধিনায়কত্ব) বিষয়টা নিয়ে এখন কথা বলাটা যৌক্তিক। কারণ একটা টেস্ট ম্যাচ শুরু হচ্ছে।

তাই আমার মনে হয়, এই সিরিজ নিয়ে মনোযোগ দেওয়াই যৌক্তিক।’

আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া গল টেস্টে দল ভালো কিছু করবে বলে আশাবাদী শান্ত। ভালো ফল নিয়েই দেশে ফিরতে চাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘যেই দলটা আমি পেয়েছি পুরোপুরি খুশি।

ব্যক্তিগতভাবে আমি যাদের চেয়েছিলাম, নির্বাচকরা সেভাবেই দিয়েছেন। নির্বাচকরাও এই দলটাই চেয়েছিলেন।

সব সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই এই দলটা হয়েছে। যেটা আমার মনে হয় ভালো দিক। দলের ভারসাম্য যদি দেখেন, ৪ জন স্পিনার ও ৪ জন পেসার। ব্যাটিংয়ে আমাদের ব্যাকআপ অপশনও আছে। তাই আমার মনে হয়, প্রতিপক্ষের শক্তি অনুযায়ী, উইকেটের কন্ডিশন অনুযায়ী দলটা সাজাতে সহজ হবে। অপশন অনেক আছে। এখন আমরা কিভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি এবং কত ভালো ক্রিকেট খেলছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা যদি করতে পারি, এখান থেকে অবশ্যই ভালো ফল নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’

শ্রীলঙ্কায় ভালো কিছু করার বিশ্বাসটা শান্ত পাচ্ছেন অতীতের ভালো স্মৃতি থেকে। যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্ট খেলে মাত্র এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটা সিরিজ ও ম্যাচই আসলে নতুন করে শুরু করতে হয়। অতীতে ভালো স্মৃতি আছে আমার, মুশফিক ভাই বা লিটনের। এটা অবশ্যই কাজে দেবে। তবে প্রত্যেকটা ইনিংস নতুন করে শুরু করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যারা ওপরের দিকে ব্যাটিং করি, একটা ভালো শুরু দিতে পারব।’

টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছেন শান্ত। ২০২১ সালে পাল্লেকেলেতে করা ১৬৩ রানের ইনিংসটি আবার তার ক্যারিয়ারসেরা। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিনি, ‘ক্যান্ডিতে আমার কিছু ভালো স্মৃতি আছে। তবে এখনও গলে খেলার সুযোগ হয়নি। তাই এটি আমার জন্য ভালো সুযোগ। চ্যালেঞ্জের কথা বললে, স্পিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা শুনেছি এবং আগেও দেখেছি। তবে গলে প্রথম ২-৩ দিনের ব্যাটিং দেখলে, ব্যাটসম্যানদের জন্য রান করার দারুণ সুযোগ। তাই বড় রান করার জন্য আমি সেই ২-৩ দিনের দিকে তাকিয়েছি। আশা করি, আমি সেটি করতে পারব।’

বাংলাফ্লো/এসও