স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বশেষ চক্রের (২০২৩-২০২৫) ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে বড় অবদান রেখেছেন পেসার কাগিসো রাবাদা। দুই ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ২০ উইকেটের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯টিই শিকার করেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার। যে কারণে এখন স্বদেশিদের প্রশংসায় ভাসছেন রাবাদা।
এই ম্যাচে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেন রাবাদা। পাশাপাশি লাল বলের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বনে যান ডানহাতি পেসার।
এতকিছুর পরও রাবাদাকে নিজেকে তারকা মনে করেন না। বলেন, ‘আমি নিজেকে কোনও তারকা হিসেবে দেখি না।’
দলের জন্য রক্ত দিতে প্রস্তুত জানিয়ে রাবাদা বলেন, ‘আমি নিজেকে এমনভাবে দেখি যে, দলের জন্য রক্ত ঢালতেও প্রস্তুত। সবসময় উন্নতির জন্য কাজ করতে চাই। এটাই আমি। দেশের হয়ে খেলি গর্ব নিয়ে। আমি অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি। আর দ্বিতীয় ইনিংসের স্পেলগুলোই আসল, যখন আপনি ক্লান্ত। আপনি হয়তো পিছিয়ে, অথবা এগিয়ে। এবার আমরা পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমি ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করেছি। যা সামনে আছে, সেটাই মোকাবিলা করতে হবে। এভাবেই আমি নিজেকে দেখি।’
রাবাদা, উইয়ান মুলডার ও রায়ান রিকেলটন- তিনজন একই স্কুলে পড়েছেন জোহানেসবার্গে। আর কাইল ভেরায়েন ও ডেভিড বেডিনহ্যাম একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছে কেপ টাউনে। রাবাদা ও টেম্বা বাভুমা একসঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন বহুদিন ধরে। রাবাদা ও এইডেন মার্করাম সেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ ছিলেন ২০১৪ সালে। যে কারণে সবার মধ্যে কোনো না কোনো দিক থেকে একটি সম্পর্ক রয়েছে। ফলে প্রোটিয়াদের এই টিমের বন্ধনটাও ভালো। যে কারণেই অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে ঘায়েল করতে সক্ষম হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রাবাদা বলেন, ‘আমি এই দিনটা কখনও ভুলব না। আমাদের দলের কোনো ছেলেও ভুলবে না। অস্ট্রেলিয়ার মতো এক দল—ওরা অভিজ্ঞ, একটু বয়সী দল, সসম্মানে বলছি। তাদের অনেকেই তখন খেলছিল, যখন আমরা স্কুলে ছিলাম। তাই এটা খুবই বিশেষ। এখনো মনে হয় যেন স্বপ্ন। বলে বোঝাতে পারছি না। এটাই এখন সব দক্ষিণ আফ্রিকানের অনুভূতি।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0