Logo

সর্বোচ্চ ‘নো’ বলের রেকর্ড রাবাদার, প্রোটিয়াদের বিব্রতকর সেঞ্চুরি

দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা পেসার ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত টেস্টেই কেবল ৫৭টি নো বল করেছেন। তার ধারেকাছে নেই আর কেউই।

ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: ক্রিকেট ম্যাচে অস্বাভাবিক ‘নো’ বলের সূত্র ধরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো ঘটনার সন্দেহ এবং পরে সেটি সত্যি বলেও প্রমাণিত হয়েছে। যদিও নো বল খেলারই অংশ। কিন্তু সেই বিষয়টিতে বর্তমানে একটু বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন কাগিসো রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা পেসার ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত টেস্টেই কেবল ৫৭টি নো বল করেছেন। তার ধারেকাছে নেই আর কেউই।

অথচ এদিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জাসপ্রিত বুমরাহ করেছেন ২৪টি নো বল। গত ৮ মাসে তিনি টেস্টে এসব নো বল করেন। অর্থাৎ, ভারতীয় তারকার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি নো বল করেছেন শীর্ষে থাকা রাবাদা। এই তালিকায় যথাক্রমে আছেন– গুস অ্যাটকিনসন (২০), মার্কো জানসেন (১৮), উইয়ান মুল্ডার (১৮) ও ড্যান প্যাটারসন (১৭)। ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে।

নো বলের এই তালিকায় শীর্ষ ছয়জনের ভেতর চারজনই দক্ষিণ আফ্রিকার। বুমরাহ-অ্যাটকিনসন মাঝে নিজেদের নাম বসিয়ে প্রোটিয়াদের আরও বড় লজ্জা থেকে যেন মুক্তি দিলেন! ফলে সবমিলিয়ে টেম্বা বাভুমার দলটি বিব্রতকর সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়ল। ২০২৩-২৫ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের ফাইনালে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের গত ৭ টেস্টে ১১৩টি নো বল করেছে। এই রেকর্ডেও তাদের ধারেকাছে কেউ নেই। গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১টি নো বল করেছে ভারত।

রাবাদার সঙ্গে জানসেন-মুল্ডার-প্যাটারসন মিলে গত ৭ টেস্টে ১১৩টি নো বল করেছেন

লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের ফাইনাল খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। যেখানে রীতিমতো ঝড় তুলছেন উভয় দলের বোলাররা। দুই দিনেই তারা উভয়পক্ষের ২৮টি উইকেট তুলে নিয়েছে। বাকি ১২ উইকেট নিয়ে আজ (শুক্রবার) তারা তৃতীয় দিনে খেলতে নামবে। অর্থাৎ, আজই নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে টেস্টের শিরোপা। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৪ রান। সবমিলিয়ে তাদের লিড ২১৮।

এই পুঁজি দেখতে ছোট মনে হলেও, প্রথম ইনিংসে চোখ রাখা ব্যক্তি মাত্রই এর তেজ বুঝতে পারবেন। প্রথম ইনিংসে অজিদের করা ২১২ রানের বিপরীতে প্রোটিয়ারা গুটিয়ে যায় ১৩৮ রানে। ফলে প্যাট কামিন্সের দলের বর্তমান লিড দাঁড়াল ২১৮–তে। এই পুঁজিও যে জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারে অস্ট্রেলিয়াকে সেই আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে লর্ডসের পরিসংখ্যান। এখন পর্যন্ত অভিজাত এই ভেন্যুতে কেবল চারবার ২০০–রানের বেশি লক্ষ্য পেরোনোর নজির রয়েছে। ২০০৫ সালের পর কেবল একবারই সেই দৃশ্য দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব।

বাংলাফ্লো/এসও

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Related Posts খেলা

Leave a Comment

Comments 0