Logo

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ সংজ্ঞা পরিবর্তন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি

প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) ও উক্ত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার সদস্য এবং বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত নাগরিকরাও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হবেন,

ছবি সংগৃহীত

বাংলাফ্লো ডেস্ক

ঢাকা: একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’র সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অন্তর্বর্তী সরকার ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২২’ সংশোধন করেছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’র সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ অর্থ যাহারা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং যে সব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের এই দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন— এইরূপ সব বেসামরিক নাগরিক উক্ত সময়ে যাদের বয়স সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের মধ্যে; এবং সশস্ত্র বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ই.পি.আর), পুলিশ বাহিনী, মুক্তি বাহিনী, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) ও উক্ত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার সদস্য এবং বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত নাগরিকরাও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হবেন, যথা-

১। হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাহাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিত সব নারী (বীরাঙ্গনা)।

২। মুক্তিযুদ্ধকালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ফিল্ড হাসপাতালের সব ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা-সহকারী।

নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ শ্রেণিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরে বা প্রবাসে অবস্থান করে যারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপিত করেছেন, মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান ও স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন, বিশ্বজনমত গঠন, কূটনৈতিক সমর্থন অর্জন এবং মনস্তাত্ত্বিক শক্তি অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করেছেন, তারাই ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই অধ্যাদেশে কারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন, তাও সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাফ্লো/আফি

Related Posts বাংলাদেশ

Leave a Comment

Comments 0