স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ‘আমি ক্যাপ্টেন হওয়াতে তাহলে কেউই খুশি নয়?’—এক বছরের জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার পর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলন শেষে বেরিয়ে যেতে যেতে গণমাধ্যমের কাছে মেহেদী হাসান মিরাজের জিজ্ঞাসাটি ছিল এমনই।
অকারণে অবশ্য তা জানতে চাননি তিনি। একটু আগেই যে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্তকে ঘিরে প্রশ্নের ঝড় বয়ে গেছে তাঁর ওপর দিয়ে। কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই নাজমুলের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়েছে কিনা এবং তা দলের পরিবেশে বিরূপ কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা, এ জাতীয় প্রশ্নের জবাব দিতে দিতেই বোধহয় মিরাজের মনে হয়ে থাকতে পারে যে তাঁর নেতৃত্বে বসাটা সংবাদমাধ্যমের পছন্দ হয়নি।
তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর ভাবনার দিগন্তে উঁকি দিয়েছে অনেক কিছুই। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানকে আবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলাতে চাওয়ার বিষয়টি অন্যতম। তবে মিরাজ নিজে চাইলেই সেটি হবে না। গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে সাকিবকে খেলানো কঠিন হয়ে গেলেও বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে জট ছোটাতে চান মিরাজ।
তাঁর সংবাদ সম্মেলন ছিল আজ সকাল ১০টায়। সেটি শেষে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে কলম্বোগামী ফ্লাইট ধরার তাড়াও ছিল মিরাজের। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন একাডেমি ভবন থেকে সতীর্থদের নিয়ে বিমানবন্দরের পথে রওনা হওয়ার আগে জানালেন, আবারও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে সাকিবের আকুতির কথা, ‘পিএসএলের সময় ওনার সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে আমার। আবার বাংলাদেশের হয়ে খেলার খুব ইচ্ছে ওনার।
এখন তাঁকে খেলানোটা তো বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’
যখন সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছিল, তখন মিরাজ অধিনায়ক ছিলেন না। তবে এখন নেতৃত্ব পাওয়ার পর তাঁকে খেলানোর চাহিদাপত্র দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশ স্কোয়াড গঠনের আগে সেই চাহিদার কথাও জানাবেন মিরাজ, ‘আমি এখন বোর্ডকে বলবো যে তাঁকে খেলানো যায় কিনা। কারণ সাকিব ভাইকে দলের খুব কাজে লাগবে।
ওনার মতো খেলোয়াড় দলে থাকার সুবিধা কী, সেটি তো আর নতুন করে বলতে হবে না।’
নতুন অধিনায়কের চাহিদায় সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নতুন ‘লাইফলাইন’ পাবে কিনা, তা অবশ্য নির্ভর করছে অনেক কিছুর ওপর।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0