Logo

খেললো ম্যান সিটি কিন্তু ইতিহাস গড়ে এফ এ কাপ জিতল ক্রিস্টাল প্যালেস

১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১১৯ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো শিরোপা জিতে নেয় ক্রিস্টাল প্যালেস।

শিরোপা জয়ী ক্রিস্টাল প্যালেসের খেলোয়াড়রদের উল্লাস

বাংলাফ্লো স্পোর্টস

ঢাকা: ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে প্রায় অধিকাংশ সময় বল ছিল ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের পায়ে। কিন্ত তাতে অবশ্য কাজের কাজ কিছুই হয় নি। কারণ দিনশেষ ফুটবল হলো গোলের খেলা যেখানে বল পায়ে রাখার জন্য আলাদা কোনো পুরষ্কার দেওয়া হয় না।

আর তাই প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত থাকা ক্রিস্টাল প্যালেসের খেলোয়াড়রা বল বেশি সময় পায়ে না রাখতে পারলেও শিরোপা নির্ধারণ করে দেওয়া একমাত্র গোলটি আদায় করে নেয়। আর এই এক গোলেই ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১১৯ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো শিরোপা জিতে নেয় ক্রিস্টাল প্যালেস।

শনিবার (১৭ মে) রাতে যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪-২৫ মৌসুমের এফ এ কাপের ফাইনাল।

ম্যাচে প্রায় ৮৫ হাজার দর্শকের সামনে সবদিক থেকে দাপট দেখায় ম্যানচেস্টার সিটি। আর দেখাবেই বা না কেনো? হতাশাজনক মৌসুম শেষে অন্তত এই একটা শিরোপা জেতার আশা করছিল পেপ গার্ডিওলার শিষ্যরা।

খেলার শুরু থেকেই আধিপত্য দেখালেও ১৬তম মিনিটে দানিয়েল মুনোজের ক্রসে দারুণ ভলিতে ব্যবধান গড়ে দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার এবেরেচি এজে।

এরপর থেকে আক্রমণের ধার আরও বাড়ে সিটিজেনদের। প্রথমার্ধের ৩৫ তম মিনিটে ফলাফলও পেয়ে যায়। ডি-বক্সে বার্নার্দো সিলভা ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টি পেয়ে যায় সিটিজেনরা।

তবে এ দিন শুরুতে আর্লিং হালান্ড স্পট-কিকের প্রস্তুতি নিলেও পরে তিনি মৌসুমের জানুয়ারিতে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া মারমুশকে বল তুলে দেন তিনি। তবে মিশরীয় ফরোয়ার্ড নষ্ট করেন সুবর্ণ সুযোগ।

তবে মারমুশের মিস বললে ভুল হব, মূলত ডিন হ্যান্ডারসনের নৈপূন্যও ছিল দেখার মতো।

এই ম্যাচে দুর্দান্ত ছিল ক্রিস্টাল প্যালেসের এই গোলরক্ষক। সব মিলিয়ে ম্যাচে ছয়টি সেভ করেন তিনি।

বিরতির পর ৫৭তম মিনিটে ক্রিস্টাল প্যালেসের হয়ে নিশানা ভেদ করেন মুনোজ। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি অফসাইডের সিদ্ধান্ত দিলে ম্যান সিটি ছাড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস। তবে তাতে শেষরক্ষা হয়নি সিটিজেনদের। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটে যোগ করা হলেও শিরোপা জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় গোলটা করতে পারে নি গার্ডিওলা শিষ্যরা।

ম্যাচের পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলেও অবশ্য এগিয়ে থাকবে সিটিজেনরা। ফাইনাল ম্যাচের প্রায় ৭৮ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল পেপ গার্ডিওলার শিষ্যদের। এর মাঝে প্রতিপক্ষের গোলবারে মাত্র ছয়টি শট নিতে পারে।

আর অন্যদিকে, পুরো ম্যাচে ১২৬টি পাস খেলা ক্রিস্টাল প্যালেস গোলমুখে শট নেয় সাতটি। যার মধ্যে লক্ষ্যে থাকা দুটি থেকে একটি গোল আদায় করে উল্লাসে মাতে তারা।

সব মিলিয়ে ব্যর্থতায় ভরা একটা মৌসুম শেষ হলো ম্যানচেস্টার সিটি। পরপর দুইবার এফ কাপের ফাইনালে হারতে হলো সিটিজেনদের। ২০২৩-২০২৪ মৌসুমের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হারতে হয় ম্যানচেস্টার সিটিকে।

আর অন্যদিকে চমক দেখিয়ে গার্ডিওলার শিষ্যদের হারিয়ে এফএ কাপে চ্যাম্পিয়ন হলো ক্রিস্টাল প্যালেস।

এর আগে অবশ্য ক্রিস্টাল প্যালেস আরও দুইবার ফাইনালে উঠে। ১৯৮৯-৯০ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমে দুইবার ফাইনালে পৌঁছালেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে শিরোপা জেতা হয় নি দলটি। তবে এবার দক্ষিণ লন্ডনের ক্লাবটি শিরোপা জিতল রেড ডেভিলসদের নগর প্রতিদ্বন্দিদের হারিয়ে।

বাংলাফ্লো/এসবি

Related Posts খেলা

Leave a Comment

Comments 0