স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: এক সময় মনে হয়েছিল, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জো রুটের দিন বুঝি শেষ। টেস্টে নিয়মিত থাকলেও ওয়ানডেতে তার জায়গা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। সময়ের স্রোতে নতুন খেলোয়াড়, নতুন ম্যানেজমেন্ট—সব মিলিয়ে রুট যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছিলেন ইংল্যান্ডের ওয়ানডে পরিকল্পনা থেকে। কিন্তু কার্ডিফে রবিবার ইতিহাস একবার ফের কলম ধরল জো রুটের হাতে।

সেই কলমে রচিত হলো ১৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, ক্যারিয়ার-সেরা ১৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস, ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তকমা—আর সবচেয়ে বড় কথা, এক ভয়াবহ শুরুর পর দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার গল্প।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ রানেই ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ওপেনার জেমি স্মিথ আর বেন ডাকেট—দুজনেই ফিরেছেন শূন্য রানে। এর পরপরই হ্যারি ব্রুক ও জস বাটলার বিদায় নিলে ১৩৩/৫ হয়ে যায় স্কোরবোর্ড। সবকিছু ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে তখন একজনই ছিলেন যিনি জানতেন কীভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়—জো রুট।

৬৯১৬ রান নিয়ে ক্যারিয়ারে ১৭৯তম ওয়ানডে শুরু করেছিলেন, আর শেষ করলেন ৭০৮২ রানে—ইংল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে। পেছনে ফেলে দিয়েছেন আগের সেরা ইংলিশ রান সংগ্রাহক এইউন মরগানকেও।

ইংল্যান্ডের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁলেন রুট। অথচ ওয়ান ডে শুরু করেছিল তারা ১৯৭১ সালে।

শুধু রেকর্ড গড়া নয়, দলের প্রয়োজনেই রুট ছিলেন অনন্য। জ্যাকব বেথেলের সঙ্গে গড়েন ১৪৩ রানের মহামূল্যবান জুটি। এরপর উইল জ্যাকস ফিরে গেলেও আদিল রশিদকে সঙ্গে নিয়ে বাকিটা পথ সহজ করে দেন রুট। তার ইনিংসটি ছিল ধৈর্য, শুদ্ধতা আর নিখুঁত ব্যাটিংয়ের এক প্রতিচ্ছবি—১৩৯ বলে ২১টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা।

এই ইনিংসে রুট নিজের গড়কেও ছাড়িয়ে গেছেন। ৪৯.১৮ ক্যারিয়ার গড় থাকা রুট এ বছর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে খেলেছেন মাত্র আটটি ইনিংস, সেখানে গড় প্রায় ৮০! স্ট্রাইক রেটও ১০ পয়েন্ট বেশি।

বাংলাফ্লো/এসও