আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: গাজায় ত্রাণ দেওয়ার নামে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করল ইসরায়েল। স্বল্প সংখ্যক মানুষের কাছে যে ত্রাণ গেল তাও পুষ্টিকর ছিল না। অথচ গাজায় ৫০ হাজারেরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফায় মঙ্গলবার ত্রাণ বিতরণ করে গাজা হিউম্যানিটারিয়েন ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। এটি ইসরায়েলের মদদপুষ্ট সংস্থা। জাতিসংঘের মতে ওই সংস্থার ত্রাণ দেওয়া ও ব্যবস্থাপনার কোনো যোগ্যতাই নেই। বিশৃঙ্খল পরিবেশের কারণে জাতিসংঘের বক্তব্যের সত্যতা মিলল। এরকম একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশের ব্যাপারে জাতিসংঘ আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিল।
আল জাজিরা জানায়, ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে খবর শুনে রাফায় ভিড় জমায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। তিন মাসের অবরোধ দিয়ে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাকই গাজায় ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এতে করে অনাহার ও তীব্র অপুষ্টিতে ভুগতে থাকে গাজার বাসিন্দারা বিশেষ করে শিশুরা। এরই মধ্যে অনাহারে ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ত্রাণের জন্য জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয় জিএইচএফের কর্মীদের। এক পর্যায়ে ব্যর্থ হলে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে সাবধান করে দেয়।
জিএইচএফ এর দাবি তারা আট হাজার বাক্স ত্রাণ বিতরণ করেছে। বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে আট হাজার অনেক ক্ষুদ্র একটা সংখ্যা। অভিযোগ উঠেছে, কম পুষ্টিকর ও স্বল্প পরিমাণ খাবার দেওয়া হয়েছে। যা দিয়ে বেশি দিন চলাও যাবে না। একটি বাক্সে আছে চার কেজি ময়দা, দুই প্যাকেট পাস্তা, দুই ক্যান ফাভা বিনস, এক প্যাকেট চা, কিছু বিস্কুট। আরেকটি বাক্সে আছে স্বল্প পরিমাণে ডাল ও স্যুপ।
ত্রাণের বাক্স দেখে গাজা থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি হিন্দ খাউদ্রে বলেন, ‘এটা মোটেও যথেষ্ট নয়।’ তিনি বলেন,‘তিন মাস ধরে মুরগি ও অন্যান্য মাংস পায় না এখানকার মানুষ। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে মানুষকে বিশেষ করে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।’
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণের অব্যবস্থাপনার কড়া সমালোচনা করেছে। তাদের দাবি, কোনো মানবিক বৈশিষ্ট্য তো ছিলই না বরং ভোগান্তিতে থাকা মানুষের দুর্দশা বাড়িয়েছে।
বাংলাফ্লো/এসকে
Comments 0