বাংলাফ্লো ডেস্ক

ঢাকা: আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের ব্যাপারে যারা জুলাই অভ্যুত্থানে ছিলেন সমস্ত পার্টির সাপোর্ট ছিলো। এখানে সবার সাথে কনসালটেশন ছিলো, আমরা সবার সাথে কথা বলেছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগন রুনি মিলনায়তনে ‘মিট দ্যা রিপোর্টার্স’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন,আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুরো বাংলাদেশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে কারণ তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, জনগণের ভোটাধিকার নিয়েছে,সমস্ত দেশকে ডাকাতির একটা জায়গা বানিয়েছিল।

সাম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভারতে বাংলাদেশের ৭টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, এটি একটি খুবই নেক্কারজনক ঘটনা। এতে বুঝায় যায় ইন্ডিয়ান কর্তৃপক্ষ ফ্রিডম অব স্পিচে কতটা বিশ্বাস করেন। আমরা এটা দেখছি এবং যাদের চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকেই বাংলাদেশে খুবই রেসপেক্টেট নিউজপেপার বা ওয়েবসাইট বা টিভি স্টেশন। এতে বুঝায় যায় তারা সত্য কথাকে নিতে পারছে না।

পালটা একশনে বাংলাদেশ যাবে না এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পালটা একশনে গেলে তাদের একশনটাকে বৈধতা দেওয়া হবে। আমাদের এটা কোনো ইচ্ছা নাই। ইন্ডিয়ান মিডিয়া, ইন্ডিয়ান টিভি সত্যাইকার অর্থে মানুষের কাছে তামাশা বিক্রি করে প্রতিদিন, মনে হচ্ছে আগেকার ইন্ডিয়ার জি টিভিতে নাটকের যে অপেরা দেখানো হতো সেগুলোর খণ্ডিতাংশ দেখানো হয়।

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্ট ডিলিটের বিষয়ে তিনি বলেন, ফেসবুকটা উনার প্রাইভেট স্পেস, এ বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের স্টেক ৩০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে কমানো এবং গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি অনুমোদন হয়েছে। এতে সরকারকে ব্যবহার করে সুবিধা আদায় করে নেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, এই পুরো বিষয়ে সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। এ বিষয়ে সাংবাদিদের তদন্ত করে দেখার আহ্বানও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন,যে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম আসছে এগুলোর কোনোটাই প্রফেসর ইউনূসের মালিকানাতে নেই। একটা জিনিসের উপরও তার শেয়ার নেই। তিনি শুধু গ্রামীণ নামটা দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানটি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় পরিচালিত হয়।

বাংলাফ্লো/এসএস