স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: ২০২০ সালের গ্রীষ্মে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর কাছে ‘গোল্ডেন বয়’ ছিলেন জাদন সানচো। মাত্র ২০ বছর বয়সে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে বুন্দেসলিগায় ১৭ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট করে নজর কাড়েন ফুটবলবিশ্বের। সম্ভাবনা ছিল বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুল কিংবা বায়ার্ন মিউনিখে যাওয়ার। কিন্তু সানচো বেছে নেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।

শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালের জুলাইয়ে ৭৩ মিলিয়ন পাউন্ডে তাকে দলে ভেড়ায় ইউনাইটেড। সে সময় সানচো নিজে বলেছিলেন, ‘এটা আমার স্বপ্নপূরণ।’

তবে প্রিমিয়ার লিগে সেই স্বপ্নের মতো সূচনা আর হয়নি। চার বছরে দুইবার ধারে অন্য ক্লাবে গিয়েছেন এই ফুটবলার।

আর এবার পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, তাকে দল থেকে বের করতে ইউনাইটেডকে উল্টো দিচ্ছে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড দিচ্ছে চেলসি!

গত গ্রীষ্মে এরিক টেন হাগের অধীনে ইউনাইটেডে তার জায়গা নিশ্চিত ছিল না। তাই ৩১ আগস্ট চেলসিতে ধারে যোগ দেন। শর্ত ছিল, চেলসি যদি প্রিমিয়ার লিগে ১৪তম বা তার উপরের স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে, তাহলে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে সানচোকে কিনে নিতে হবে। অন্যথায়, ৫ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা দিয়ে সে চুক্তি বাতিল করতে পারবে।

সানচোর সাপ্তাহিক তিন লাখ পাউন্ড বেতনের অর্ধেকই বহন করে চেলসি। চেলসির মেয়াদে অবশ্য মৌসুমের শেষটা ভালোই করেন এই উইঙ্গার। উয়েফা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে গোল করে চেলসিকে শিরোপা জেতান। পুরো মৌসুমে ৪২ ম্যাচে ৫ গোল ও ১০ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। তবে তার ফর্ম ও বেতনের ভার বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত চেলসি ৫ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে চুক্তি বাতিল করেছে।

ফলে ২৫ বছর বয়সী সাঞ্চোকে আবার ফিরতে হচ্ছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। তবে এবারের প্রত্যাবর্তনে সেই উন্মাদনা নেই, যেটা ছিল পাঁচ বছর আগে। বরং প্রশ্ন উঠছে—এখন তার ভবিষ্যৎ কোন পথে?

নতুন মৌসুম শুরুর আগে জাদন সানচো কোথায় যাবেন বা আদৌ নতুন ক্লাব পাবেন কি না, তা নিয়েই চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে এতটুকু নিশ্চিত, পাঁচ বছর আগের মতো আর ‘সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত তরুণ প্রতিভা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে না তাকে।

বাংলাফ্লো/এসও