স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ১১ জুন ২০২৫ থেকে ১১ জুন ২০২৬। ঠিক এক বছর পর শুরু হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। একাধিক কারণে এটাই ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় বিশ্বকাপ। এক, এই প্রথম খেলবে ৪৮টি দেশ। দুই, তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো এবারের বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক।
লিওনেল মেসি যেদিন ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের ট্রফি তুললেন হাতে, তার ঠিক তিন বছর পাঁচ মাস ২১ দিন পর পর্দা উঠছে ২৩তম ফিফা বিশ্বকাপের। ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে বুধবার।
এদিকে আমেরিকা প্রস্তুত ফুটবলবিশ্বকে একটি স্মরণীয় বিশ্বকাপ উপহার দেওয়ার জন্য। ৩০ বছর আগেও ‘ফুটবল’ কিংবা ‘সকার’ ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকৃষ্ট করবে, যুক্তরাষ্ট্রে এমন চিন্তাও ছিল অকল্পনীয়। কিন্তু আজ মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কল্যাণে ফুটবল মার্কিন ক্রীড়া সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।
এই প্রথম খেলবে ৪৮টি দেশ। তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো এবারের বিশ্বকাপের যুগ্ম আয়োজক।
তিন দশকের প্রচেষ্টায় মার্কিনিদের ফুটবলপ্রেম অঙ্কুর থেকে প্রস্ফুটিত হয়েছে পত্রপল্লবে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সুতরাং, সাংগঠনিক অভিজ্ঞতায়ও পিছিয়ে নেই তারা। এমএলএস যে মার্কিনিদের ফুটবলমুখী করেছে, এর পেছনে রয়েছে লিওনেল মেসির অশেষ অবদান।
এমএলএসের ডিরেক্টর অব কম্পিটিশন আলফনসো মোনডেলো ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি নিয়ে মার্কাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে ফুটবলের প্রসারে এমএলএসের অবদান অনস্বীকার্য। আর এমএলএসের এমন পুষ্পিত হয়ে ওঠার পেছনে লিওনেল মেসির কৃতিত্ব অনেকখানি। বলা যায়, মেসি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে এক মাইলফলক।’
১১ জুন, ২০২৬ মেক্সিকো সিটিতে উদ্বোধন। নিউইয়র্কে ফাইনাল ১৯ জুলাই। তিন দেশের ১৬টি শহরে ১০৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, যা আগের যে কোনো আসরের তুলনায় সর্বোচ্চ।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0