Logo

শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা।

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ এই স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসাবে পালন করেন বুদ্ধভক্তরা। গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা ছিলো অহিংসা, শান্তি, সাম্য ও সহানুভূতি।

বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। বৌদ্ধ ধর্ম মতে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিলো বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অপর নাম দেয়া হয় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’। ঢাকাসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শ্রদ্ধা ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবেন।

দিনটি সরকারি ছুটির দিন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

দিনটি উপলক্ষ্যে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বুদ্ধ পূজা, শীল গ্রহণ, পিণ্ডদান এবং ভিক্ষু সংঘকে দানসহ নানা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে দেশের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক বাণীতে তিনি বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ হিংসা-বিদ্বেষ ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে মানবজাতিকে আলোকিত করেছেন। মানুষের মধ্যে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধ অহিংসার বাণী প্রচার করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠীনির্বিশেষে সবার ভাগ্য উন্নয়ন ও সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। বুদ্ধের আদর্শের অনুসরণ হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাফ্লো/এসকে

Related Posts বাংলাদেশ

Leave a Comment

Comments 0