Logo

যুদ্ধবিরতির পর প্রতিদিনই ১০০ শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে গাজায়: জাতিসংঘ

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আল-আহলি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ জন নিহত ও ২৮৭ জন আহত হন।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা ফ্লো ডেস্ক

ঢাকা: গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। যুদ্ধবিরতির পর সেইদিনের হামলা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দিনে গড়ে ১০০ শিশুকে হত্যা বা আহত করেছে দখলদার বাহিনী —এমনটাই দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ। পরিস্থিতি এমন যেখানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা কারণে গাজার আল-আহলি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কোনও জায়গা অবশিষ্ট নেই।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভোর থেকে অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার পর হাসপাতালের পরিচালক এ কথা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। হাজার হাজার শিশু হাত-পা হারিয়েছে এবং তারা চরম মানসিক ট্রমার ভেতর দিয়ে দিন কাটাচ্ছে।

হামাস সতর্ক করে বলেছে, গাজায় অবশিষ্ট যে বন্দিরা রয়েছে তাদের অর্ধেকই এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নতুন জোরপূর্বক উৎখাত আদেশপ্রাপ্ত এলাকায় অবস্থান করছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আল-আহলি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ জন নিহত ও ২৮৭ জন আহত হন।

সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ৬০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ০৬৩ জন আহত হয়েছে। সরকারি মিডিয়া অফিস, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এর বেশি বলে জানিয়েছে।

ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজার হাজার নিখোঁজকে মৃত ধরে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানায় সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। ওই সময় ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই দিনই গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল।

বাংলাফ্লো/এসবি

Leave a Comment

Comments 0