Logo

বিচারক না ওঠায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে অচলাবস্থা

আইনজীবীদের আন্দোলনের মুখে এজলাসে ওঠেননি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম। এতে করে থমকে আছে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম। আসামিকে জামিন না দেওয়ায় এ ঘটনার সূত্রপাত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনজীবীদের আন্দোলনের মুখে এজলাসে ওঠেননি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম। এতে করে থমকে আছে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম। আসামিকে জামিন না দেওয়ায় এ ঘটনার সূত্রপাত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের সামনে বিচারককে অপসারণ করার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা। এ সময় বিচারক খাস কামড়ায় অবস্থান করেন। তবে এজলাসে ওঠেননি।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মিরাজ উদ্দিন শিকদার জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এক আসামির জামিন নামঞ্জুর করায় উপস্থিত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারককে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ ঝাড়েন। এ সময় বিচারক এজলাস ত্যাগ করে খাস কামড়ায় চলে যান। আজ আইনজীবীরা বিক্ষোভ করায় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে তিনি এজলাসে ওঠেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেই আসামিপক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জামান দীপু বলেন, বিচারকের আচরণে সাধারণ আইনজীবীরা ক্ষিপ্ত। এজন্য সাধারণ আইনজীবীরা তার অপসারণ চেয়ে আন্দোলন করছেন। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন। তাদের সম্মতি নিয়েই সাধারণ আইনজীবীরা সাইবার ট্রাইব্যুনাল বয়কট করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্টাফরা জানান, ওই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তার অনুপস্থিতিতে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েকদিন আগে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সপ্তাহ ব্যবধানে আবারও তার জামিন চাইলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় উন্মুক্ত এজলাসে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করলে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।

এদিকে আন্দোলনরত আইনজীবীরা জানান, এই বিচারক নিয়মিত আইনজীবীদের ও বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকেন। একজন বিচারকের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশিত না। প্রতিনিয়ত তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। এজন্য আমরা তার অপসারণ চাই।

জেবি

Related Posts বাংলাদেশ