নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বৈজ্ঞানিক সেশন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর পিতা-মাতাদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ নানা আয়োজনে আন্তজার্তিক শিশু ক্যানসার দিবস উদযাপিত হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, শিশু হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক ডা. এটিএম আতিকুর রহমান, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক ডা. চৌধুরী শামসুল হক কিবরিয়া, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোমেনা বেগম প্রমুখ।
এবারের আয়োজনে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিল বিএসএমএমইউ থেকে চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা শতাধিক ক্যানসার বিজয়ী শিশু। এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে যাওয়া প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু এখন সুস্থ জীবন যাপন করছে।
বিএসএমইউর শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে বের হওয়া শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
শোভাযাত্রার আগে সমাবেশে অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ক্যানসার রোগে আক্রান্ত শিশুদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাদের জন্য বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (বিএমটি) চালুর ক্ষেত্রে বর্তমান প্রশাসন থেকে সহায়তা প্রদান ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের চিকিৎসা আছে।
বৈজ্ঞানিক সেশনে জানানো হয়, শিশুরাও ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে, এটি কোনো নতুন রোগ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শিশু ক্যানসার বা চাইল্ডহুড ক্যানসার বলতে ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া বোঝায়। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় তিন লাখ শিশু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়।
‘চাইল্ডহুড ক্যানসার: এ সিচুয়েশন অ্যানালাইসিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে প্রতি বছর ৯-১২ হাজার শিশু কিশোর ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. আনোয়ারুল করিম লিউকেমিয়া চিকিৎসার অ্যাডভান্সমেন্ট নিয়ে একটা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি উন্নত দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসার একটা তুলনামূলক বিশ্লেষণ নিয়ে আলোচনা করেন। আর্লি স্টেজে এবং নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করলে আমাদের দেশের বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়েই আরও সারভাইভার বৃদ্ধি করা সম্ভব। তবে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন যে, এখনও বেশিরভাগ পরিবারই শেষ পর্যায়ে আসে চিকিৎসা নিতে আসে তখন চিকিৎসকদের তেমন কিছু করার থাকে না। আজকের এই ধরনের সচেতনতা কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যাতে করে তারা দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করে।
জেবি